সঠিক সময় গভীর ভাবে ঘুমানোর আটটি উপায় ।


11/29/19

ADVERTISEMENT
ঘুম,মানব জীবনে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ঘুম।
যখন আমরা জেগে থাকি , ওই অবস্থাকে ক্যাটাবলেস্টিক স্টেট বলা হয়। এই অবস্থায় আমাদের  শক্তি খরচ  হতে  থাকে। আর যখন আমরা  ঘুমিয়ে থাকি,এই অবস্থাকে  এনাবলিক স্টেট বলা হয়।এই অবস্থায় আপনি শক্তি সংগ্রহ করতে থাকেন।
রাতে একটা ভালো ঘুম দিয়ে সকালে ফ্রেশ আর  সক্রিয় হয়ে ঘুম থেকে উঠার অনুভূতিটাই অন্য রকম।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার টা হলো এই মর্ডান সোসাইটির যুগে এখন আর কেউ এতটা ভাগ্যবান নেই।

আর তার ফল স্বরূপ আমাদের মাশুল ও দিতে হচ্ছে।
ঠিক ভাবে না ঘুমানোর কারণে ,
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, ডিপ্রেশন, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস,স্মৃতিশক্তি হারানো আরো অনেক সমস্যার
সমুখহীন হতে হচ্ছে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অনেকে হয়তো জানেও না
তাদের বেশির ভাগ রোগ এমন কি কেমন দেখতে তা অনেকটা নির্ভর করে ঘুম আর উপর।

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়:
১)ঘুমের মূল্য সম্পর্কে জানুন।
"ঘুমানো টাইম নষ্ট,
দিনের তিনভাগের একভাগ ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলে কিভাবে হবে!"
সঠিক ভাবে ঘুমাতে হলে মাথা থেকে এইসব চিন্তা সবার প্রথমে দূর করে দিন। সঠিক ঘুম আপনাদের  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে, দৈহিক শক্তি বাড়ায় , মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন ঘুম কতটা জরুরী।


২)বেশি আলোর মধ্যে থাকুন!

একটা ভালো ঘুমের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো মেলাটোনিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ।
এটা আমাদের sleep-awake সার্কেলটাকে মেইনটেইন করার জন্য মতিস্কে সংকেত পাঠায়। মেলাটোনিনের ক্ষরণ লাইট এক্সপোজার সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।
তাই দিনে যত বেশি সম্ভব আলোর মধ্যে থাকতে চেষ্টা করুন আর রাতে যত কম পারুন আলোর মধ্যে থাকেন।

৩) স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।


আর্টিফিসিয়াল
ব্লু স্ক্রিন যেমন মোবাইল,টিভি, ল্যাপটপ,
এরা আপনার শরীর আর ডে টাইম হরমোনস (cortisone) ক্ষরণ বন্ধ করে দেয়। যেটা আমাদের  স্বাভাবিক ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে।তাই যতটা পারুন এই সব  ব্লু স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।আর এই সব ব্যবহার করা যদি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে ফোনে বা ল্যাপটপে ব্লু স্ক্রিন ফিল্টার ব্যবহার করুন। রাত জেগে পাবজি/ফ্রী ফায়ার খেললে আপনার হসপিটালের বিল তারা এসে পে করবে না!
৪) ক্যাফিন এড়িয়ে চলুন।
ক্যাফিন একটা শক্তশালী নার্ভাস সিস্টেম উদ্দীপক।
যদি আপনার নার্ভাস সিস্টেম লিট আপ হয়ে যায় তাহলে পারফেক্ট ঘুম আর কথা তো ভুলেই যান!
তাই বিকাল ৪ টার পর ক্যাফিন জাতীয় ড্রিঙ্কস যেমন চা, কফি , কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া বন্ধ করে দিন।

৫)ঠান্ডা পরিবেশে ঘুমান।
ঘুমানোর সময় আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অটোমেটিকলি কমতে থাকে। কিন্তু পরিবেশের তাপমাত্রা যদি বেশি তাহলে  পারফেক্ট ঘুমে বাধা সৃষ্টি করে। একটা পরীক্ষা ঠিক জানা গেছে ২০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা ঘুমের জন্য পারফেক্ট। তাপমাত্রা ১২° সেলসিয়াসের কম বা ২৩° সেলসিয়াসের বেশি হলে তা পারফেক্ট ঘুমের জন্য অনুপযোগী। তাই সব সময় ঠান্ডা পরিবেশে ঘুমানো চেষ্টা করুন।

৬)সঠিক সময় ঘুমাতে যান।
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে যে মানুষের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন গুলো তৈরি হয় রাত ১০ টা থেকে রাত ২ টার মধ্যে।
তাই গভীর ঘুমের জন্য সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া খুবই গুরত্বপূর্ণ।

৭)যোগব্যায়াম।
অনেক পরীক্ষা থেকে জানা গেছে যোগব্যায়াম আমাদের শরীরের feel good 
হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।
যা গভীর ঘুম আর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা পালন করে।

)তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন।
ঘুমের কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করার জন্য আপনি সত্যিই যদি কিছু করতে পারেন তা হলো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা। খনার একটি বচন আছে,
" সকাল শোয় সকাল ওঠে তার কড়ি না বৈদ্য লুটে " মানুষের জন্য আগে থেকেই একটা ঘুমের প্যাটার্ন
নির্ধারণ করা আছে।সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে এই প্যাটার্নের সাথে যোগসূত্র তৈরি হয়।
যা সঠিক সময়ে গভীর ঘুমের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এইসব নিয়ম গুলো মেনে চললে আসা করি আপনিও সঠিক সময় সঠিক ও গভীর ভাবে  ঘুমোতে পারবেন।

সব সময় সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
World news
ad